Pages

Wednesday, December 6, 2017

কাজ -পন্ডকরনে দীর্ঘসূত্রতা 
দীর্ঘসূত্রতা আলস্যেরই সম্বন্ধী -কাজ পন্ড করার গুরুঠাকুর  ! - যাহা করণীয় তৎক্ষণাৎ করিয়া দীর্ঘসূত্রতাকে বিদায় করিও ; -দক্ষতা ও কার্য্যসিদ্ধি তোমার অনুচর হইবে  !
লোভ 
যথোপযুক্ত প্রয়োজনকে অতিক্রম করিয়া অতিরিক্তে উদগ্রীব আকাঙ্কাকেই লোভ বলা যাইতে পারে ;- তুমি ঐ অতিক্রম হইতে সাবধান থাকিও ,কারন ,উহা তোমাকে অবসন্নতায় চালাইয়া মৃত্যুতে নিঃশেষ করিতে পারে  !
ক্রোধে দুর্দ্দশা 
ক্রোধ যাহাকে ক্ষিপ্ত করিয়া স্বার্থন্ধতার অবস্থায় অন্যকে ব্যাহত করায় , দুর্দ্দশা দিগ্বিজয়ী হইয়া অট্টহাস্যে তাহার অনুসরণ করে  !
স্বার্থ 
 যাহা হইতে  পাওয়া ঘটিতেছে --তাহাকে পূরণ করিয়া ,উচ্ছল করিয়া পাওয়াকে অবাধ করাই স্বার্থের তাৎপর্য্য ; - পাওয়ার উৎসকে পূরণ না করিয়া গ্রহণ যেখানে মুখর হইয়াছে ,স্বার্থ সেখানে ভ্রান্তির কবলে পড়িয়া ম্লান ও মুহ্যমান নিশ্চয়  !
চৌর্য্যের পরিণতি 
চুরি করিও না ; - চাহিদায় ঘৃষ্ট বৃদ্ধিবৃত্তি কাহাকেও উদ্বৃত্ত না করিয়া অন্যায্যভাবে ,অঞ্জাতসারে পরিপূরিত হইতে চায় তাহাই চৌর্য ; চৌর্য্য বুদ্ধিবৃত্তি দিন-দিন অন্যের ক্ষতি করিয়া অপকর্ষের দিকে উধাও হয় বলিয়া অর্থাৎ ,করার ভিতর দিয়া যেমন ক্রিয়া চাহিদাকে পূরণ করিলে বোধ ও জ্ঞানের উন্মেষ তাহা পাওয়া যায়  - তাহাই চৌর্য্যে আহত ও অবসন্ন হইয়া অধর্ম্মকে আলিঙ্গন করে বলিয়া এত ঘৃণ্য ,এত পাপ ,এত হীনতা  - তাই বলি , এই চৌর্য্যবুদ্ধিকে প্রশ্রয় দিয়া তোমার ও তোমার পারিপার্শ্বিকের সৰ্ব্বনাশ করিও না ,সাবধান হও !

 রিপুদমনে 
কামক্রোধাদি রিপুগনকে দমন করিবার প্রয়াসে বিব্রত হইয়া উঠিও না  - ঐ বিব্রত ভাব উহাদিগকে প্রতিষ্ঠাই করে ;বরং উদ্দীপ্ত রিপুকে এমন কোন ও চিত্তকর্ষক বিষয় বা ভাব নিয়োজিত হইয়া নিরস্ত কর যেন উহার প্রশ্নই তোমাতে কমই মাথা তোলা দেয়।; - দেখিও রিপুকে আয়ত্ত করা কত সহজ  !



---চলার সাথী (শ্রীশ্রী ঠাকুর অনুকূলচন্দ্র)

Monday, December 4, 2017

সিদ্ধির পথ 

পারি -না ভাবা বা পারায় সন্দেহ কাৰ্য্যত 'না '-পড়াকেই সৃষ্টি করে ;- পারে 'না 'বা সন্দেহকে তাড়িয়ে দাও -লেগে থাক,চেষ্টা কর ,সিদ্ধি সম্মুখেই তোমার  !

'না ' -এর কুটুম্বিতায় 

'না ' যাহার সহধর্মিনী ,'হয় -না ' যাহার শ্যালক ,সে যদি অভিনন্দিত হয় -দুর্দ্দশার সিংহাসন অটল থাকিবে সন্দেহ নাই !

 কর্ম্মপটুতায় অনুপ্রাণতা 

 অনুপ্রাণতা যেখানে যত সহজ ও তরতরে - কর্ম্মপটুতা সেখানে তত স্বাভাবিক ও উদ্দাম  !

 সুখ 

যাহাতে তোমরা being -টাকে (সত্তাকে সজীব ,উন্নত ও আনন্দিত করিয়া পারিপার্শ্বিক চারাইয়া সবাইকে উৎফুল্ল করিয়া তোলে   - সুখ যদি বলিতে হয়  - তাহাকেই বলা যাইতে পারে  !

আলস্যে দারিদ্র্য 

আলস্য,পারি না ,হয় -না বা পারা -যায় -না , এ -সব চিন্তা ও চলন হইতে সাবধান ও সতর্ক থাকিও , - কারন , ইহাই সহজেই বংশপরম্পরায় সংক্রামিত হয় এবং পারিপার্শ্বিক ইহাদের দ্বারা দুষ্ট হইয়া ওঠে ; - ফলে ,বংশ ,সমাজ ও দেশ মূঢ় ,মুহ্যমান ও অবসন্ন হইয়া বিশাল দরিদ্রতায় নিঃশেষ হইয়া যায়  !

প্ৰয়োজনানুপূরণে  

আলস্যকে প্রশ্রয় দিও না ,সেবা -তৎপর হও , সংবর্দ্ধনায় মানুষকে অভিনন্দিত কর ,-সাধ্যমত ,যেমন করিয়া পার অন্যের প্রয়োজনের অনুপূরক হও , - নিজে তুষ্ট ও তৃপ্ত থাকিয়া পরকে তুষ্ট ও তৃপ্ত কর ; - দেখিবে ,না চাহিলেও অর্থ ,ঐশ্বর্য্য তোমাতে অবাধ হইয়া থাকিবে ,দারিদ্রতা -দূরে দাঁড়াইয়া তোমাকে অভিবাদন করিবে  !

বাঞ্চনায় 

যদি বঞ্চনার প্রেম অটুট রাখিতে চাও ,তবে যাহা হইতে পাইয়া পুষ্ট হইতেছে ,তাহাকে পুষ্ট করার ধাক্কায় কেন কষ্ট পাইবে  ?

 দারিদ্রতার বন্ধু 

আলস্য ,অবিশ্বাস ,আত্মম্ভরিতা ও অকৃতজ্ঞতার মতন বন্ধু বা মিত্র থাকিলে দরিদ্রতাকে আর খুঁজিতে হইবে না ;- এমন -কি ইহাদের যে কোন একটিও দারিদ্রতার এমন বন্ধু -ইহাদের কাহাকেও ছাড়িয়া যেন সে থাকিতে পারে না ,এমন ধন যদি তোমার অন্তরে বসবাস করে - দুঃখের অভাবের বালাইকে আর সহ্য করিতে হইবে না  !



------চলার সাথী (শ্রীশ্রী ঠাকুর অনুকূলচন্দ্র )

 


Saturday, December 2, 2017

প্ৰেমে দক্ষতা ও নিপুনতা 
একমাত্র ভালোবাসা- ই আবিষ্কার করিতে পারে -তাহার প্রিয় কেমন করিয়া জীবন ,যশ ,প্রীতি ও বৃদ্ধিতে উন্নত হইয়া তাহার পারিপার্শ্বিক কে উচ্ছল হইতে পারে ,-তাই ,প্রেম বা ভালোবাসা-ই মানুষে সহজ ঞ্জানের সমাবেশ করিয়া দক্ষতা ও নিপুণতার সহিত তাঁহাকে বাস্তবতায় প্রতিষ্ঠিত করে !
 চিন্তা -বিলাসী 
 যখনই দেখিবে তোমার যে -কোন চিন্তা ও চলন কর্ম্মকে ডাকিয়া আনে না বা তাহাতে লাগিয়াও থাকে না -বুঝিও তাহা তোমার চিন্তা বা কল্পনার -ই বিলাসিতা  !
 খাঁটি চাওয়ার কষ্টিপাথর 
তোমার কোন চাওয়ার জন্য বিপরীত প্রবৃত্তিগুলি কে তাচ্ছিল্য করতে পারছ না - এই হচ্ছে জানার উপায় যে তোমার চাওয়া খাঁটি নয়  ! লেগে -থাকো যেমন করে বা যেমন হলে তাকে পেতে তার ধার দিয়ে যাচ্ছে না বা যেতে কষ্ট হচ্ছে ,- নির্ঘাত বুঝবে -তোমার চাওয়া তো খাঁটি নয় -ই ,বরং তা চাওয়ার বিলাসিতা মাত্র !
 জয়ে প্রয়োজন -পূরণ 
জয়ই যদি করিতে চাও বাহ্যিক শক্তিচালনায় অভিভূত করিয়া নয়, - তাহার প্রয়োজনপূরণে তুমি মুখর ও বাস্তব হইয়া দাড়াও !
পারায়  'হাঁ '
পারা আর না -পারার মধ্যে ততটুকু তফাৎ যতটুকু 'হাঁ ' আর 'না ' র ভিতর ;-- পারাতে যে 'না 'কে ডেকে আনে না ,যারা পারা সম্বন্ধে কোন প্রশ্ন নেই অথচ করাকে অবলম্বন করে ,--করার আনন্দে কোন -কিছুতে থেমে যায় না , সে পারে  !
পারায় 'না '
 আর ,পারার চিন্তাকে যে 'না 'কে ডেকে এনে ক'ষে নিতে চায় 'না ' যার এত বিশ্বস্ত  !- 'না 'কে বাদ দিয়ে যার কোন ভাব ,কোন চিন্তা ,কোন কর্ম্ম -চালনাই হয়ে ওঠে না ,পারা বা করার সাজ -সরঞ্জাম সে যতই করুক না কেন ,তার সবটাই 'না ' টাকে আলিঙ্গন করে অবশ হয়ে ঘুমিয়ে পড়ে  !

---------- চলার সাথী 

                                            দুঃখের চিন্তায় 

দুঃখের চিন্তায় বিব্রত থাকিও না -দুঃখের ভাব কাহাকেও আনন্দিত করিতে পারে নাই ! - বরং কিসে মানুষকে সুখী করিতে পারিবে ,মানুষ কেমনতর ব্যবহার পাইলে সুখী হয় -তা 'কেমন করিয়া করিতে পারা যায় ইত্যাদি চিন্তা কর ,কাজে লাগিয়া যাও ;-নিজেও সুখী হইবে আর ,অন্যকেও করিতে পারিবে !
                                                                        

                                             

                                               দোষদর্শনে                                   

দোষ দেখতে হলেই তা 'ভাবতে হবে ,চিন্তা করে বের করতে হবে ,- আর ,তার সাথে একটা বিরক্তির বা আক্রোশের বোধকে সজাগ রাখতে হবে ; -আর ,এই করতে গেলেই মস্তিষ্কে ঠিক অমনতর ভাব -ই মজুত থাকবে ,দেখতে পাবে কিছুদিন পরে সেই দোষ গুলির অভিনয় তুমি কেমনতরভাবে করছ ;-তাই ,সাবধান হও -দোষ -দেখা হতে ,দোষ -ভাবা হতে ,বিরক্তি ও আক্রোশ হতে ! 

কপটতা 

কপটতা পারিপার্শ্বিককে ভ্রান্ত ক্রিয়া নিজের উন্নতির কবাট রুদ্ধ করিয়া দেয় ! 

চরিত্র -নির্ণয়ে


তোমার চলা ও বলা -ই বলে দেয় ---তুমি কেমন মানুষ ,কী চাও --আর ,কী -ই বা পেতে পার ! 

                                      -------- চলার সাথী ( শ্রী শ্রী ঠাকুর অনুকূল চন্দ্র)