প্রজনন
প্রজা মানেই হচ্ছে -প্রকৃষ্টরূপে জাত -সর্ব্বসম্ভাব্য উদ্বর্দ্ধনি সার্থকতায় ; আর প্রকৃষ্ট জন্ম পেতে হলেই চাই -প্রজনন -পরিশুদ্ধি -সর্ব্ব -সম্ভাব্যতার বৈধানিক সংস্থিতিতে।
যাদের মাথা নেই তারা মরা -বাপু তাদের বিরাট হোক আর কৃশ ই হোক ;মস্তিষ্ক যাদের সুনিষ্ঠ ,উদগ্র ,প্রনিধানী ,সমঞ্জস ,তীক্ষ্ণ ,অচ্যুত ,ক্ষিপ্র ,আন্তঃ ও দূরদৃষ্টিপ্রবণ ,অব্যাহত ,-তারাই জনবিধায়ক ,লোকপাল ;মানুষ জন্মাতে হবে যথানিয়মে -অন্তর্নিহিত সম্পদে উদ্ভিন্ন করে -গজিয়ে ,তার বৈশিষ্ট্যকে কৃষ্টিবেদী -পরিপোষনে তেজাল করে তুলতে হবে -আর এ ক্রমাগত ,তবেই জন ও জাতি সজাগ -পদক্ষেপে উন্নতির পথে চলতে থাকবে ,আবোল তাবোল চলনে কিন্তূ সব হারাবে -যাই থাকুক না তোমার ;উন্নতি যদি পেতেই চাও -পেতে দেরী হলেও সে -চলনে এখন থেকেই চলতে হয় ,-চল ,--দেরী করো না।
স্ত্রী -বীজাণু যদি পুং -বীজাণু -বৈশিষ্ট্যের অনুপূরক ,সমঞ্জস ও সমধৰ্ম্মী না হয় ,-বীজকোষের উদগময়নী হলেও তা বীজ বৈশিষ্ট্যকে অনেকখানি ভঙ্গুর করে অপকর্ষ এনে দেয় -অন্তর্নিহিত স্থিতিস্থাপক সংহতি নষ্ট করে দেয় ;ফলে -কৃতঘ্নি প্রবণতাগুলি ওই বৈধানিক অসঙ্গতির দরুন সক্রিয় হয়ে ওঠে -তারমানে -আদিম বৈশিষ্ট্য যা -তাকে নষ্ট করে দেয়।
সন্তান দুর্ব্বলমনা ,খামখেয়ালী ,বিকৃত ,রোগপ্রবণ ,বৃত্তিপরায়ণ ,কৃষ্টিবিমুখ ,ঐক্যধ্বংসী হয় ,প্রবৃত্তি -স্বাথী ,অসৎপ্রকৃতি স্বল্প -বিচারবুদ্ধি , - এক কথায় মাতৃ ধাতু বিকারী ,পিতৃ বৈশিষ্ট্য -পরিধ্বংসী - স্বভাবতঃ।
যখন ইষ্টচিত্ত ,উন্নতমনা ,সানন্দ,সাম্যচিন্তানিত ,ফুল্ল ও তৃপ্ত উভয়েই , - স্ত্রী -পুরুষে মিলিত হতে পারে তখনই ;সুসন্তানের জনক -জননী হওয়ার আশাই এতে সমধিক , - যদি বিহিত পরিণীত হয়ে থাকে।
------------- শ্রী শ্রী ঠাকুর অনুকূলচন্দ্র
No comments:
Post a Comment