Pages

Tuesday, November 28, 2017

নারীর জীবনে সর্বপ্রথম যে পুরুযের সংসর্গ ঘটে ,তাহার কথা নারী কোনদিনই ভুলিতে পারেনা..


কিন্তু  ইহা বৈজ্ঞানিক সত্য যে ,নারীর জীবনে সর্বপ্রথম যে পুরুযের সংসর্গ ঘটে ,তাহার কথা নারী  কোনদিনই ভুলিতে পারেনা। তাহার মনের অবচেতন স্তরে ঐ পুরুষের স্মৃতির গভীর রেখাপাত হয়। পরবর্তী জীবনে সে যখন বাধ্য হইয়া অন্য পুরুষের সংস্পর্শে আসে ,তখন তাহার মন বারংবার পূর্ববর্তী ও পরবর্তী পুরুষদ্বয়ের মধ্যে ইতস্ততঃ ছুটাছুটি করিতে থাকে ; কাহাকেও ঠিক ঠিক আকড়াইয়া ধরিতে পারে না। এই মানসিক দ্বিচারিনীত্বের ফলে সন্তানগুলি হয় বিশৃংখলমনা , বিশ্বাস -ঘাতক। নারীর সঙ্গে পুরুষের মিলন শুধু যৌন আকর্ষণই নহে। নারী যদি পুরুষের অন্তর বুঝিয়া সেবা ,সাহচর্য ,প্রেম প্রভৃতির মধ্য দিয়া তাহার বৃত্ত্যনুসারিনী না হয়,সে কখনও সুসন্তানের জননী হইতে পারে না। বুদ্ধিমান পিত কন্যার ভাবী মঙ্গল করিলে কখনই কন্যার বিবাহের পূর্বে অন্য পুরুষের সঙ্গে তাহাকে মিশিতে দিবেন না। আবার সে পুরুষ যদি শ্রেষ্ঠ হয় , তাহা হইলে তো কথাই নাই। তাহার স্মৃতি চিরদিনের জন্য কুমারীর অন্তরে মুদ্রিত হইয়া যাইবে। পরবর্তী জীবনে স্বামীর সামান্য দোষ ত্রুটির জন্য কখনই সে তাহাকে সহ্য করিতে পারিবে না। তখন তাহার অবচেতন মনে ঐ পুরুষের স্মৃতি তীব্ৰ দ্বন্দ্ব তুলিবে। কিন্তু নারী যদি পবিত্রা হয়,ধার্মিক হয় ,সে হাজার বিরুদ্ধ পরিবেশের মধ্যে পড়িয়াও দেব -সন্তানের জননী হইতে পারে। পুরুষ যদি নারীর নিকট হইতে পোষন না পায় ,সম্বধর্না না পায় ,সে খিন্ন হয় ,দুর্বল হয় ,অশান্ত হয় ,ভাঙিয়া পড়ে। কিন্তু যে নারী নিজের যথা -সর্বস্ব দিয়া তাহাকে তুষ্ট -পুষ্ট করিতে য্ত্নবতী হয় ,তাহার সংস্পর্শে ঐ ম্রিয়মান পুরুষ অমৃতের ন্যায় জীবনী -শক্তি দান করে। ঋষি -কবিরের এই উপদেশ বাণী স্মরণ রাখিলে আমরা অবশ্যই বুঝিতে পারিব যে ,'মহাভারতের কথা অমৃত সমান' . 

No comments:

Post a Comment